টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয় । টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ – সম্মানিত ভিজিটর, ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ । এই রোগ হলে আর সরানো যায় না । তাই আমাদের সকলকে হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে । আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিস দ্বারা আক্রান্ত হয়।
সম্মানিত ভিজিটর, আজ আমরা এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি, টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে। এছাড়াওআপনাদের জানাবো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য সহ আরও অনেক কিছু। এই বিষয়গুলো জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস খুব বেশি আকারে দেখা যাচ্ছে। ডায়াবেটিস অনেক ধরণের হয়ে থাকে। তার মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়. আমরা অনেকেই জানি না টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি। আমরা আপনাদেরকে জানাবো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য সম্পর্কে।
আরোও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে | ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য
অনেকেই টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য কি তা জানে না। আমরা এখানে আপনাদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস সম্পর্কে তুলে ধরছি।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত কম দেখা যায়. টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগটি জুভেনাইল রোগ নাম পরিচিত। মানুষের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন শরীরে ইনসুলিন তৈরী করতে পারে না. চিকিৎসকরা এটিকে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলে থাকেন। টাইপ ১ ডায়াবেটিস অপ্রাপ্ত বয়স্ক দের বেশি দেখা যায়.
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
মানুষের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস টি বেশি দেখা যায়। এই ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগও বলা হয়ে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে মানুষের অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষের তেমন ক্ষতি হয় না। তবুও ইনসুলিন নিতে বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর কারণে শরীর এর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়. টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়
আপনি কি জানেন টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়। আমাদের সকলের ই উচিৎ টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়ে থাকে তা জানা। টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি ক্রনিক রোগ. যখন আপনার শরীরে ইনসুলিন তৈরিকারী হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে যাবে তখন এই রোগ দেখা দেয়। ইনসুলিন উৎপাদনকারী হরমোনের ক্ষতিগ্রস্থ হলে আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় ।
আরোও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় | ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
যখন আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিস হবে তখন এর কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। আমাদের সকলের টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে আগে থেকে জেনে থাকা ভালো। এর ফলে আমাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলে বুঝতে সুবিধা হবে. লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো।
বেশি বেশি তৃষনা অনুভব করা, আপনার মূত্রের পরিমান বেড়ে যাবে, আপনি কোন কিছু দেখতে চোখে ঝাঁপসা মনে করবেন, আপনার মুড সুয়িং হবে, আপনার হাত ও পায়ে মেজ মেজ অনুভব করবেন, আপনার ওজন দ্রুত কমে যাবে, বেশি বেশি ক্ষুধা অনুভব করবেন, আপনি শরীরের মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করবেন, আপনার ক্ষত হলে তা শুকাতে দেরি হবে, আপনার ত্বকে কালো দাগ পড়বে ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত?
অনেকেই জানতে চায় ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত। আমাদের সকলের উচিৎ ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত তা জানা। ব্লাড সুগার পরিমাপ করা হয় মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এককে। মানুষের শরীরে আদর্শ ব্লাড সুগার লেভেল ৯০ থেকে ১০০ মিগ্রা/ডেলি ধরা হয়.
রক্তে শর্করার নাম কি
আপনি কি জানেন রক্তে শর্করার নাম কি। আমাদের শরীরের শক্তির মূল উৎস শর্করা। শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরী হয় যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫০-৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিৎ।
সম্মানিত ভিজিটর, আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে আপনি টাইপ টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয় , টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত পড়ুন তাহলে বাংলা ভাষায় অনেক কিছু জানতে পারবেন।